শরীর এবং মনের পূর্ণ সুস্থতা নিশ্চিত করতে হিজামা থেরাপি কীভাবে কার্যকর, জানুন এই প্রতিবেদনে!

হিজামা থেরাপি কী?

হিজামা থেরাপি হলো অতি প্রাচীন এক চিকিৎসা পদ্ধতি। হিজামা আরবি শব্দ এসেছে ‘আল-হাজম’ থেকে । যার অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া। আধুনিক পরিভাষায় বলে কাপিং (Cupping)। এটি ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসারও অন্তর্ভুক্ত। যাকে বাংলায় শিঙ্গা এবং ইংরেজিতে Cupping Therapy ও বলা হয়। ইউনানীতে হাজামাৎ আর আয়ুর্বেদিকে রক্তমোক্ষণ নামে বেশ পরিচিত।

হিজামা অন্যতম একটি সুন্নাহ চিকিৎসা যা বিজ্ঞান সম্মত। যাতে মানুষের সকল প্রকার শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সুস্থতা বিদ্যামান রয়েছে।

হিজামা পদ্ধতির প্রচলন কবে থেকে শুরু হয়েছে এ বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না৷ তবে ধারণা করা হয়, এখন থেকে প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বে এটি চালু হয়৷ বর্তমানে আরব, আফ্রিকা, চীন ও কোরিয়ার কিছু অঞ্চলে হিজামা বেশ জনপ্রিয়৷

হিজামার ইসলামিক প্রমাণ

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘রোগমুক্তি তিনটি জিনিসের মধ্যে নিহিত। শিঙা লাগানো, মধু পান করা এবং আগুন দিয়ে গরম দাগ দেওয়ার মধ্যে। তবে আমি আমার উম্মতকে আগুন দিয়ে গরম দাগ দিতে নিষেধ করি। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৮১)

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করিম (সা.)-এর (পায়ে) যে ব্যথা ছিল, তার জন্য তিনি ইহরাম অবস্থায় হিজামা লাগিয়েছিলেন। (নাসায়ি, হাদিস : ২৮৫২)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) মিরাজে যাওয়ার সময় তিনি ফেরেশতাদের যে দলের কাছ দিয়ে অতিক্রম করেন, তারা বলেন, ‘আপনি অবশ্যই হিজামা করাবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৬২)

মিরাজের রাত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এই রাতে ফেরেশতাদের যে দলের সম্মুখ দিয়েই তিনি যাচ্ছিলেন, তারা বলেছেন, ‘আপনার উম্মতকে হিজামার নির্দেশ দিন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪৭৯; তিরমিজি, হাদিস : ২০৫২)

 হিজামার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১। মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা ২। রক্তদূষণ ৩। উচ্চরক্তচাপ ৪। ঘুমের ব্যাঘাত (insomnia) ৫। স্মৃতিভ্রষ্টতা (perkinson’s disease) ৬। অস্থি সন্ধির ব্যাথা/ গেটে বাত ৭। ব্যাক পেইন ৮। হাঁটু ব্যাথা ৯। দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথা ব্যাথা ১০। ঘাড়ে ব্যাথা ১১। কোমর ব্যাথা ১২। পায়ে ব্যাথা ১৩। মাংসপেশীর ব্যাথা (muscle strain) ১৪। দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা ১৫। হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা

১৬। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা ১৭। সাইনুসাইটিস ১৮। হাঁপানি (asthma) ১৯। হৃদরোগ (Cardiac Disease) ২০। রক্তসংবহন তন্ত্রের সংক্রমন ২১। টনসিলাইটিস ২২। দাঁত/মুখের/জিহ্বার সংক্রমন ২৩। গ্যাস্ট্রিক পেইন ২৪। মুটিয়ে যাওয়া (obesity) ২৫। দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseses) ২৬। ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিষ্কাশন ২৭। ফোঁড়া-পাঁচড়া সহ আরো অনেক রোগ।

২৮। ডায়াবেটিস (Diabetes) ২৯। ভার্টিব্রাল ডিস্ক প্রোল্যাপ্স/ হারনিয়েশান ৩০। চুল পড়া (Hair fall) ৩১। মানসিক সমস্যা (Psycological disorder) এবং আরও অনেক রোগ। (তথ্য সূত্র- হিজামা ডট কম ডট বিডি)

শরীরের কোন অংশে হিজামা বেশি কার্যকর

মাথার পেছনে (কান দুটির মাঝ বরাবর, ঘাড়ের ওপরে)

মাথার পেছনে

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট — নবী মুহাম্মদ (সা.) এই জায়গায় হিজামা করেছেন (উপরের মাথার পেছনের অংশে, যেটা “কাহিল” নামে পরিচিত)।
মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, হতাশা, ঘুমের সমস্যা, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

ঘাড় ও কাঁধের সংযোগস্থল (Trapezius Muscle এর উপরের অংশ)

ঘাড় ও কাঁধের সংযোগস্থল

ঘাড়ের ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডার, ঘাড়ের টান, মাথার ভার অনুভব করার সমস্যার জন্য কার্যকরী।

পিঠের মধ্যভাগ (thoracic spine এর দুই পাশে)

পিঠের মধ্যভাগ

পিঠ ব্যথা, ফুসফুস, হৃদরোগ সংক্রান্ত উপসর্গে উপকারী।

কোমর (lumber area)

কোমর

কোমর ব্যথা, সায়াটিকা (sciatica), কিডনি সমস্যার জন্য উপকারী।

হাঁটুর চারপাশ

হাঁটুর চারপাশ

হাঁটুর ব্যথা, বাতজনিত সমস্যা, চলাফেরার অসুবিধা হলে।

পায়ের পেছনে হ্যামস্ট্রিং অঞ্চলে

পায়ের পেছনে হ্যামস্ট্রিং অঞ্চলে

দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার ফলে পায়ে ক্লান্তি বা ব্যথা হলে।

হিজামার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মেডিকেল রিসার্চ ও প্রমাণ

১) কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, হিজামা মাথাব্যথা, ঘাড় ব্যথা, পিঠব্যথা ও মাইগ্রেন কমাতে কার্যকর হতে পারে।
উদাহরণ: ২০১০ সালের এক মেটা-অ্যানালাইসিসে (BMJ প্রকাশিত) দেখা যায় হিজামা কিছু ধরনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

২) হিজামা রক্তে জমে থাকা “stagnant blood” বা “metabolic waste” দূর করতে পারে বলে দাবি করা হয়। যদিও একে পুরোপুরি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করা হয়নি।

৩) কিছু গবেষণায় বলা হয়, হিজামা ইমিউন রেসপন্স (immune response) বাড়াতে পারে।

৪) স্ট্রিল্যাক্সেশন ও স্ট্রেস রিডাকশনে সহায়ক হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।

WHO “Traditional Medicine” হিসেবে হিজামাকে চিহ্নিত করেছে এবং একে গবেষণার আওতায় এনেছে। তবে এটি এখনো আধুনিক চিকিৎসার প্রতিস্থাপন নয়—বরং বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে পড়ে।

নিচের ক্যাটাগরির মানুষদের জন্য হিজামা করানো সাধারণত নিরাপদ এবং উপকারী ধরা হয়:

১. ব্যথায় ভোগা ব্যক্তি:
যারা মাথাব্যথা, পিঠ ব্যথা, জয়েন্ট পেইন, বা মাইগ্রেনে ভুগছেন।

২. উচ্চ রক্তচাপ ও রক্ত সঞ্চালন সমস্যায় আক্রান্তরা:
হিজামা রক্ত চলাচল উন্নত করে, ফলে এটি উপকারী হতে পারে।

৩. মানসিক চাপ ও ঘুমের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তি:
হিজামা স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমের গুণগত মান বাড়ায়।


৪. হজমের সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা ব্যক্তি: 

হিজামা হজম ও লিভার ফাংশন উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

৫. খেলোয়াড় বা শারীরিক শ্রমজীবীরা:
পেশী ব্যথা ও ক্লান্তি দূর করতে হিজামা বেশ কার্যকর।

৬. নারীদের হরমোন ভারসাম্যজনিত সমস্যা থাকলে:
মাসিক অনিয়ম, PCOS, বা চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা থাকলে হিজামা উপকারী হতে পারে।

Soul Healing-এর হিজামা বিশেষত্ব

হিজামা মানে শুধু কাপ বসানো না—এটা হলো এমন এক হিজামা থেরাপি যা শরীরের পাশাপাশি মনের শান্তি আর আত্মার প্রশান্তিও এনে দেয়।

বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরিচালিত থেরাপি

আমাদের প্রত্যেকটি হিজামা সেশন পরিচালনা করেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ থেরাপিস্ট, যারা শরীরের নির্দিষ্ট পয়েন্টে সঠিক নিয়ম মেনে কাজ করেন।

ব্যক্তিভিত্তিক থেরাপি প্ল্যান

একেকজনের সমস্যা একেক রকম—তাই আমরা আপনার শরীরের কন্ডিশন বুঝে একদম পারসোনালাইজড হিজামা থেরাপি দিয়ে থাকি।

হাইজেনিক ও নিরাপদ পরিবেশ

সর্বোচ্চ পরিচ্ছন্নতা ও সুরক্ষা বজায় রেখে প্রতিটি কাপ, সরঞ্জাম ও থেরাপি রুম স্যানিটাইজ করা হয়।

পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা সেশন

পুরুষ ও মহিলাদের হিজামা সেশন সম্পূর্ণ আলাদা ও নিরাপদ পরিবেশে করানো হয়, যাতে সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিশ্চিন্তে থেরাপি নিতে পারেন।”

রুকইয়াহ ও সুন্নাহভিত্তিক পরিবেশ

শুধু ফিজিক্যাল থেরাপি নয়—আমরা আপনাকে রূহানিয়াতের শক্তিও দিতে চাই। আমাদের পরিবেশে রুকিয়াহর বরকতও পাবেন।

পরামর্শ ও ফলো-আপ সুবিধা

হিজামা থেরাপি শেষ মানেই শেষ না—আমরা আপনার সমস্যা অনুযায়ী লাইফস্টাইল, খাবার এবং ফলো-আপ পরামর্শ দিয়ে থাকি।

হিজামার সময় নিয়ম

চন্দ্র মাসের ১৭, ১৯ বা ২১ তারিখে হিজামা করানো মুস্তাহাব। কারণ এই দিনগুলোতে রাসূল (সঃ) হিজামা করাতেন। 

আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কাঁধের দু’পার্শ্বে এবং কাঁধের মধ্যবর্তী স্থানে শিঙ্গা লাগাতেন এবং তিনি ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখে শিঙ্গা লাগাতেন (তিরমিযী হা/২০৫১; ছহীহাহ হা/৯০৮; ছহীহুত তারগীব হা/৩৪৬৪)। 

আনাস (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি সতেরো, ঊনিশ ও একুশ তারিখে শিঙ্গা লাগাবে সে সকল রোগ হ’তে নিরাময় থাকবে (আবুদাউদ হা/৩৮৬১; ছহীহাহ হা/৬২২; ছহীহুল জামে‘ হা/৫৯৬৮)।

এছাড়া দিনের ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার, সোমবার ও মঙ্গলবার হিজামা লাগাতে উৎসাহিত করা হয়েছে (ছহীহুত তারগীব হা/৩৪৬৬)। এই দিনগুলোতে হিজামা ব্যবহার করা বিজ্ঞানসম্মত। 

ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, এই হাদীসগুলো বিজ্ঞানসম্মত বলে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ঐক্যমত পোষণ করেছেন। তারা বলেছেন, মাসের দ্বিতীয় অর্ধের শেষের দিকে হিজামা লাগানোতে অধিক উপকার রয়েছে (যাদুল মা‘আদ ৪/৫৪)। 

অতএব এই তারিখগুলোর সাথে দিনগুলো মিলে গেলে রোগী সর্বাধিক উপকার লাভ করতে পারে ইনশাআল্লাহ।

কতদিন পর পর একজন সুস্থ মানুষ হিজামা নিতে পারবে?

সুস্থ মানুষের জন্য বছরে একবার, মতান্তরে দুই বা তিনবার হিজামা করা ভাল, এটা রোগের প্রতিষেধক (Prophylaxis) হিসেবে কাজ করে।

হিজামার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

হিজামাতে কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। অবশ্য এক্ষেত্রে হিজামা থেরাপিস্ট অভিজ্ঞ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হওয়া আবশ্যক। হিজামাতে ছোট ছোট আঁচড় বা স্ক্রাচ দেওয়া হয়, সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। যদি ঢিপ কাট হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে শরীর থেকে মূল রক্ত চলে আসার আশঙ্কা থাকে। শরীরের যে সমস্ত স্থানে হিজামা করার নির্দশনা রয়েছে, সঠিকভাবে সেখানে হিজামা করা হলে কোনো না কোনো রোগের উপকার হবেই। 

প্রথমবার হিজামা নেওয়ার পরামর্শ

১) Aspirin জাতীয় ওষুধ খেলে হিজামা করানোর ২৪ ঘন্টা আগে বন্ধ রাখতে হবে।

২) নখ দিয়ে চুলকানো যাবে না।

৩) হিজামার ২৪ ঘণ্টার আগে গোসল করা যাবে না।

৪) হিজামার ২/৩ ঘণ্টা আগে খেয়ে নিলে ভাল হবে।

৫) হিজামা করার পরে ২ দিন সহবাস করা যাবে না।

৬) হিজামা করার পরে ৩ দিন চর্বি অথবা এলার্জী জাতীয় কোন খাবার খাওয়া যাবেনা।

রিভিউ ও ফিডব্যাক

Soul Healing-এর ক্লায়েন্টদের মতে, হিজামা থেরাপি কেবল শারীরিক নয়, মানসিক প্রশান্তিও দেয়। অনেকে দীর্ঘদিনের পিঠ বা ঘাড় ব্যথা থেকে মুক্তি পেয়েছেন, কেউবা মাইগ্রেন বা ঘুমের সমস্যা কাটিয়ে উঠেছেন।

“অনেক বছর ধরে মাথাব্যথায় ভুগছিলাম। অনেক চিকিৎসা নিয়েও আরাম পাইনি। এক বন্ধুর পরামর্শে Soul Healing-এ হিজামা করাই। একবারেই মাথাটা হালকা হয়ে গেল। এখন নিয়ম করে করাই। আলহামদুলিল্লাহ!”

 — মো. রায়হান, ৩২ বছর, ঢাকা

“পিরিয়ড অনিয়মিত ছিল, শরীর সবসময় ক্লান্ত লাগতো। এখানে হিজামা করার পর থেকে শরীরটা অনেক ফ্রেশ ফিল হয়। স্টাফরাও খুব আন্তরিক ছিলেন। নারীদের জন্য আলাদা জায়গায় করার ব্যবস্থা থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পেরেছি।”

— সাবরিনা ইসলাম, ২৭ বছর, নারায়ণগঞ্জ

“আমি ব্যাক পেইনে ভুগছিলাম দীর্ঘদিন। পেইনকিলার ছাড়া চলতাম না। এখন হিজামা থেরাপি নিচ্ছি নিয়ম করে। এখন পেইন অনেকটাই কমে গেছে। গাইডলাইন, পরামর্শ সবকিছু এত সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেয় যে মনেই হয় না আপনি প্রথমবার করাচ্ছেন।”

— রুবেল আহমেদ, ৪০ বছর, চট্টগ্রাম

এ ধরনের ফিডব্যাক Soul Healing-এর মান ও পেশাদারিত্বের প্রমাণ দেয়।

Soul Healing-এর সার্ভিস চার্জ

আমাদের এখানে হিজামা থেরাপিতে প্রতি কাপের মূল্য মাত্র ১২০ টাকা। তবে কতটি কাপ ব্যবহার করা হবে, তা একেকজনের শরীরের অবস্থা, সমস্যা ও প্রয়োজন অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে।

কারো মাইগ্রেনের জন্য ৩–৫ কাপই যথেষ্ট, আবার কারো কোমর ব্যথা বা শরীরের দীর্ঘস্থায়ী বিষক্রিয়া দূর করার জন্য প্রয়োজন হতে পারে ৭–১০টি কাপ।

একজন অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ আপনার শরীরের অবস্থা দেখে পরামর্শ দেবেন, কোন জায়গায় কাপ বসবে ও কতটি কাপ লাগবে।

তাই খরচ আগে থেকে নির্ধারণ করে বলা সম্ভব নয় -আপনার সুস্থতা ও প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত হবে।

সচরাচর জিজ্ঞাস্য

১. হিজামা থেরাপি কি ব্যথাদায়ক?
না, সাধারণত হিজামায় খুব সামান্য ব্যথা অনুভূত হয়। কাপ বসানোর সময় হালকা টান লাগলেও এটি সহনীয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যায়।

২. কতদিন পরপর হিজামা করানো উচিত?
সুস্থ মানুষের জন্য বছরে একবার, মতান্তরে দুই বা তিনবার হিজামা থেরাপি করা ভাল,এটা রোগের প্রতিষেধক (Prophylaxis) হিসেবে কাজ করে। তবে নির্দিষ্ট সমস্যা থাকলে হিজামা থেরাপি এর পরামর্শ অনুযায়ী তা কম বা বেশি হতে পারে।

৩. হিজামার জন্য খালি পেটে থাকতে হয়?
হ্যাঁ, হিজামা করানোর অন্তত ২–৩ ঘণ্টা আগে থেকে কিছু না খাওয়াই ভালো। তবে একেবারে না খেয়ে যাওয়াও ঠিক নয় – হালকা কিছু খেয়ে যেতে পারেন।

৪. হিজামা করার পর কী করতে হবে?
হিজামার পর বিশ্রাম নিতে হবে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোসল বা ভারি পরিশ্রম এড়ানো উচিত। প্রচুর পানি পান করুন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।

৫. নারীরা কি হিজামা করাতে পারেন?
হ্যাঁ, নারীদের জন্য উপযোগী পদ্ধতিতে হিজামা করানো হয়। Soul Healing-এ নারী থেরাপিস্টের ব্যবস্থাও রয়েছে।

৬. কাদের হিজামা না করানো উচিত?
যাঁদের হেমোফিলিয়া, অ্যানিমিয়া, বা কোনো রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা আছে, তাঁরা আগে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে হিজামা করানো উচিত নয়।

উপসংহার

হিজামা থেরাপি শুধু শরীরের উপর একটি থেরাপি নয় – এটি একটি অভিজ্ঞতা, যেটি আপনাকে ভিতর থেকে হালকা করে।

Soul Healing-এ, আমরা শুধু শরীর নয়, আপনার মন, আত্মা আর জীবনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার যাত্রায় পাশে থাকি।

বিশ্বাস রাখুন, নিয়মিত যত্ন আর সঠিক পরিবেশে হিজামা আপনাকে ফিরিয়ে দিতে পারে সেই শান্ত, স্বাভাবিক জীবনযাপন, যেটা আপনি প্রাপ্য।

Soul Healing হোক আপনার সুস্থ জীবনের নতুন শুরু।

শুধু শরীর নয়-মুক্তি দিন মনকেও।
আজই আপনার যত্নের সময়।

রাসূল (সাঃ)- এর নির্দিশিত চিকিৎসা পদ্ধিতির আলোকে জিন, জাদু, বদনজর, হাসাদ জনিত সমস্যা এবং সকল প্রকার শারীরিক – মানষিক রোগের চিকিৎসা করা হয়।